Bangla   English   রেজিস্টার লগইন
 

দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা


 

ভূমিকা ও দায়িত্ব

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তার জন্মলগ্ন অর্থাৎ ১৯৯৩ সাল থেকেই বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। বর্তমানে বিএসইসি প্রতিমাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুইবার বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মসূচীর আয়োজন করে থাকে। তিনদিনব্যাপী এই কর্মসূচীর মূল উদ্দেশ্য, অন্যান্যের মধ্যে, বিনিয়োগকারীদেরকে সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং প্রাপ্তির বিষয়ে ধারণা দেয়া।

বিএসইসি’র প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে “বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ”। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের অন্যতম উপায় হচ্ছে তাদেরকে যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রদান। বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারীরা নিজেদেরকে অযৌক্তিক আচরণ থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি তাদের ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতার বাইরে বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত ঝুঁকি নেয়ার প্রবনতা থেকেও দূরে থাকবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বর্তমানে একটি দেশব্যপী বিনিয়োগ শিক্ষার প্রণয়ন করেছে। এতে মূল ভূমিকা পালন করবে বিএসইসি। এ সংক্রান্ত বিধিমালা ইতোমধ্যে বিএসইসি প্রণয়ন করেছে এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিস্ট সকলের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং তাদের সাধ্যমত কার্যক্রমটি বিস্তারে সহায়তা প্রদান বাধ্যতামূলক করেছে।

এই বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এবং “জাতীয় আর্থিক শিক্ষা নীতি” চালুকরণের উদ্দেশ্যে সরকার, মন্ত্রণালয় এবং আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। প্রস্তাবিত বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমকে সফল করার জন্য বিএসইসি’র ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশনের সহায়তা বিশেষভাবে প্রয়োজন।

পুঁজিবাজার সংশ্লিস্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে, স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিপজিটরি, ক্লিয়ারিং কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট অন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচীটি সফল করার জন্য দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানি সমূহের বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন কারণ বিনিয়োগকারীদের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্য তাদের ব্যবসার যথাযথ মূল্য প্রতিফলিত হবে। বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে বিনিয়োগ শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং আলাদা বিভাগ খুলতে হবে। ICAB, ICMAB, ICSB এর ন্যয় পেশাজীবি সংগঠনসমূহ এবং BICM, BIBM এর ন্যয় ব্যবসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিজনেস স্কুল সমূহের উচিৎ তাদের ব্যবসা সংক্রান্ত কোর্সের মাধ্যমে যথাযথ বিনিয়োগ শিক্ষা প্রদান করা।